স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া নামাজগড় এলাকার সুলতানগঞ্জ পাড়ার স্বদেশ হাসপাতাল রোডে আরজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক শপের সামনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলোপাতাড়ি ভাবে হাসুয়া ও এসএস পাইপের আঘাতে খুন করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফকে। এই চাঞ্চল্যকর হত্যা কাণ্ডের প্রধান আসামীসহ ০৩জনকে গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ৷ বিগত ১২ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কাকরাইল মসজিদে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা নিশিন্দারা পূর্বখাঁ পাড়া মিলু শেখের ছেলে সাকিব শেখ ও সানমুন শেখ ওরফে সালমন এবং একই এলাকার হাতেম আলীর ছেলে হিমেল শেখ। হত্যা কাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া ও এসএস পাইপ ঐদিন রাতেই উদ্ধার করা হয়। গত ১৩ই ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে পুলিশের পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এবং জানায় যে,আরিফের ভাগ্নে মুহিমের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে গত ৭ই অক্টোবর সাকিবকে চাকু মেরে গুরুতর আহত করে আরিফ। এঘটনায় সাকিবের বাবা মিলু বাদী হয়ে আরিফকে প্রধান আসামী করে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ আরিফকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১৮ দিন জেল হাজতে থাকার পর আরিফ জামিনে বের হয়ে আসে। তারপর জামিনে বের হয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সাকিব ও তার সহযোগীরা মিলে আরিফকে গত ৫ই ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার সময় আরিফকে হত্যা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও হত্যা কাণ্ডের পর আসামিগন পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। পরিশেষে তারা হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সাকিব ও তার সহযোগীরা ঢাকা কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেয় তারা তাবলীগ জামাতের মুসল্লি সেজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আত্মগোপন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানার টিম এন্টি টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় সাকিব ও তার সহযোগীদেরকে কাকরাইল মসজিদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। আর বাকী এই হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে মর্মে জানান তিনি।