জুয়েল শেখ জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই গ্রামের শুরু থেকে দরগা বাজার হয়ে পাঁচবিবির শেষ সীমানা পর্যন্ত ১২শ ৬৫ মিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন এসএম নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজের শুরুতেই নিন্মমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রামের শুরু থেকে দরগা বাজার হয়ে পাঁচবিবির শেষ সীমানা পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে রাস্তার দুই পাশের এজিংয়ের কাজে পুরনো ও নিন্মমানের ইটের ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দাবি, রাস্তায় ব্যবহৃত পুরনো ইট সেলভেস হিসেবে বাজেটে ধরা আছে। আর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, নিন্মমানের ইট অপসারনের জন্য বলা হয়েছে। রাস্তা কার্পেটিংয়ের আগে থাকবেনা।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আওলাই গ্রামের শুরু থেকে দরগা বাজার হয়ে পাঁচবিবির শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১২শ ৬৫ মিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলমান আছে। রাস্তা কার্পেটিংয়ের জন্য রাস্তার উভয় পাশের এজিংয়ের ইট তুলে নতুন করে দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে, রাস্তার উভয় পাশে দেওয়া এজিংয়ের ইটের বেশির ভাগ পুরনো ও নিন্মমানের। আবার কোথাও কোথাও নতুন ইট দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ময়নুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন বলেন, এতদিন পর পুনরায় আমাদের এলাকার সড়কের কাজ শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর রাস্তা নতুন করে হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী খুশি। তবে, রাস্তার কাজের শুরুতেই উভয় পাশের দুই নম্বর ও পুরনো ইট দিয়ে কাজ শুরু করেছে। পুরনো ইট দিলে রাস্তা টেকসই হবেনা। কিছুদিন পর আবার আগের মতই হবে। পুরনো ইটের বিষয়ে ঠিকাদারের লোকজনদের বললে তারা বলেন এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানকে ডেকে আনেন।
ঠিকাদারের সহকারী বাবুল হোসেন বলেন, রাস্তার এজিংয়ের কাজে ব্যবহৃত পুরনো ইটগুলো সেলভেস হিসেবে বাজেটে ধরা হয়েছে। পুরাতনের মধ্যে যে ইটগুলো ভালো আছে সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া পুরনো ইটগুলো যদি এজিংয়ের কাজে ব্যবহার না করলে ওই ইট গুলো ভেঙে খোয়া করে তো রাস্তাই দিতাম। পুরনো ইট গুলো এজিংয়ের কাজে দেওয়া বা খোয়া করে দেওয়া একই কথা।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী মো.কাইয়ুম বলেন, রাস্তায় ব্যবহৃত পুরনো ইট গুলো অপসারণের জন্য ইতিমধ্যেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। রাস্তা কার্পেটিংয়ের আগে সব ইট তুলে নিবে, আর থাকবেনা। এসএম নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটির কাজ পেয়েছেন।