বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ সাইদুর রহমান অনিক
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৬
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড ওঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. রমজান মৃধা এই সাইনবোর্ডটি ওঠায়।
জানা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতেন ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি এ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং একবার আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
তার মালিকানাধীন রাজাপুর বাইপাস মোড় সড়কের পাশে দুতলা বিশিষ্ট একটি ভবন ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপি তাদের স্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার মনোনয়ন নেন। এরপরই তার মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপির সকল সাইনবোর্ড ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়।
বিএনপির কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস
মঙ্গলবার সেখানে নৌকার নির্বাচনী সাইনবোর্ড ওঠানো হয়। এদিকে ২০ বছরের পুরোনো বিএনপির এই কার্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলারস্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক সময়ে যে নেতার কারণে গর্বে বুক ভরে যেত আজ সেই নেতাকেই বেঈমান, মীরজাফরসহ বিভিন্ন উপাধি দিচ্ছেন বিএনপির কর্মীরা।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গার ওপরে নির্মাণ করা। এতদিন তিনি বিএনপিতে ছিলেন তাই বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে সেখান থেকে। এখন তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তাই এ ভবন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নাই।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসেন তখন আমাকে তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে বলেন। তখন আমি তাকে বলেছি, রাজাপুরে আওয়ামী লীগের নিজস্ব অফিস রয়েছে, আপনি চাইলে নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে আপনার ওই ভবনটি ব্যবহার করতে পারেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।