মোক্তার হোসেন,কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
হেমন্তের ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ খুলনার কয়রার মাঠ। সোনালী ধানে ভরে গেছে মাঠ প্রান্তর।সারা মাঠে যেন ছড়ানো রয়েছে সোনার ফসল।এ অঞ্চলে অধিকাংশ ধানে পাক ধরেছে।কৃষক মাঠে ধান কাটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ধান কাটা শুরু হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়রার মাঠে প্রান্তে চারদিকে এখন সবুজের সমারোহ দিগন্ত জোড়া সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠভরা ধান দেখে কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝলক। কয়রার বিভিন্ন মাঠে ধান ক্ষেতের গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়েছে।
কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সঠিক পরিচর্যার ফলে এ বছর আমনের ফলন বেশি হয়েছে। আমি ৪ বিঘা জমিতে ফসল লাগিয়েছি আশা করছি প্রতি বিঘা জমিতে ১৫-২০ মন ধানের ফসল পাবো।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কয়রা উপজেলায় ১৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে। চাষাবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমি। লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি জমি চাষাবাদ হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ বছরে
ধান এখনো দন্ডায়মান এবং কিছু ধান কর্তন অব্যহত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে লক্ষ মাত্রা ছিলো ১৪ হাজার ৬২০ হেক্টর জমি। চাষাবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর জমি। ফলন উৎপাদন হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৬১ টন।
২০২১-২২ অর্থ বছরে লক্ষ মাত্রা ছিলো ১৩ হাজার ৫ শ হেক্টর জমি। চাষাবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৬২০ হেক্টর জমি। ফলন উৎপাদন হয়েছে ৭০ হাজার ১৭৬ মেট্রিকটন। প্রতি বছর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার চলতি অর্থ বছরে আমন আবাদের জন্য কয়রা উপজেলায় ৬ হাজার ৬৬৫ জন কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। এই প্রনোদনা দেয়ায় আগ্রহী হয়ে কৃষকরা বেশি জমি আবাদ করছে। যার ফলে উৎপাদন বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, কৃষি প্রধান দেশে মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য সরকার নানামুখি ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। কৃষক যাতে সহজে উৎপাদন বাড়াতে পারে তার জন্য বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। যাতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হন এবং উৎসাহ পান সে জন্য বিনা মুল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। সরকার বিনা মুল্যে সার- বীজ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার কারণে কৃষক আগ্রহী হয়ে আবাদের দিকে ঝুকেছেন । যে কারনে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোক্তার হোসেন।
কয়রা খুলনা প্রতিনিধি।