স্টাফ রিপোর্টার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৫ শেরপুর ৩ আসনে জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হকের মনোনয়ন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে
জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
২৮ শে নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে শ্রীবরদী পৌর শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক সভাপতি মো আলতাফ হোসেন ও উপজেলা জাপার বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো নুর জামান বিক্ষোভ
মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদ সমাবেশ।
উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক সভাপতি মো আলতাফ হোসেন বলেন গন ফোরাম থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান দেওয়া পার্শ্ব বতী বকশীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সিরাজুল হক কে শেরপুর ৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
অথচ তাকে কেউ চিনে না।
তার সাথে তৃণমূলের জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই।
সিরাজুল হক একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা ।
তার মনোনয়ন আমরা মেনে নিতে পারছি না।
অবিলম্বে তাকে শেরপুর ৩ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার দাবী জানাচ্ছি।
উপজেলা জাতীয় পাটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো নুরুজ্জামান বলেন, দুটি উপজেলার নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে তাদের মতামত না নিয়েই সিরাজুল হককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তিনি শেরপুর ৩ আসনের মাঠ পর্যায়ের কোন নেতা না।
তিনি সারা বছর ঢাকায় থেকে দলীয় টিকিটে নির্বাচন করতে এসেছে।
আমরা তৃণমূলের কর্মীরা আজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছি।
তার সাথে দুই উপজেলার কোন নেতা কমী নেই।
কতিপয় জনবিচ্ছিন্ন দালালদের নিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড করছে।
তাই আমরা তার নির্বাচন করব না।
উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো শফিউল আলম বলেন,
উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন সিরাজুল হক।
তিনি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করলে সম্মানজনক ভোট পাবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত হবে দলের সাংগঠনিক অবস্থার।
তিনি জামালপুর জেলার বাসিন্দা অথচ তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে শেরপুর ৩ আসনে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও তিনি এলাকায় আসেনি।
জাপা নেতা শামছুল হক বলেন
সিরাজুল হক এ আসনে জাপার প্রার্থী হলে
আমরা কাজ করবা না তার সাথে।
অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল আহসানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হোক।
তিনি আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে
জাপার শেরপুর ৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী
ইন্জিনিয়ার সিরাজুল হক বলেন,
দল আমাকে মনোনয়ন দিছেন।
আমি শ্রীবরদী উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক।অনলাইলে মনোনয়ন পএ দাখিল করবো।
৩/৪ ডিসেম্বর এলাকায় গিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।