এস আই সুমন,স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়াঃ
বিতর্ক তৈরি করতেই যিনি পছন্দ করেন, তিনি হলেন ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। বিএনপি থেকে চারবার নির্বাচিত হয়েছিলেন সংসদ সদস্য। ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এরপরও এক-এগারোর সময় যোগ দিয়েছিলেন সংস্কারপন্থীদের দলে তিনি। অতীতের ভুল স্বীকার করে পরে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আবেদন করে মূলধারায় ফিরেন। এরপরও বিতর্ক থেমে থাকেনি। এবার তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। দলে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত সাবেক এই সংসদ সদস্য ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই এলাকায় ফের সমালোচনার জন্ম দেন ডা. মোল্লা। ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ বুধবার ডা. জিয়াউল হক মোল্লার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন। পরে তাকে কাহালু-নন্দীগ্রাম এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা যুবদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, বিএনপি থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। এক-এগারোর মতো কঠিন সময়ে সংস্কারপন্থীদের দলে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে আরও কঠিন সময় পার করছে দল। দল যেখানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছে সেখানে তিনি কিভাবে দলের বাহিরে গিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এমন নেতাকে এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে।
কাহালু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, জিয়াউল হক মোল্লা বিএনপি থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি নির্বাচন করলে বিএনপিতে ফেরার সুযোগ সারা জীবনের জন্য হারাবেন। এছাড়া তিনি এলাকায় ঘৃণিত হবেন। নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির কেউ তার সঙ্গে নেই বলেও জানান তিনি।
বিতর্কিত ডা. জিয়াউল হক মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কারপন্থী হওয়ার অভিযোগে আমাকে বিএনপির গ্রাম কমিটিতেও রাখা হয়নি। সংস্কারপন্থীদের অনেকেই দলে ফিরেছেন, দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছেন। অথচ আমাকে মূল্যায়ন করেনি বিএনপি।’
এস আই সুমন
স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া।
তারিখঃ ২৯/১১/২০২৩ ইং