হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কেজি স্বর্ণসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গ্রেপ্তাররা হলেন ফারুক (৫২) ও রাণী আক্তার। সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।তিনি জানান, সোমবার ভোরে এপিবিএন এবং এনএসআই’র যৌথ আভিযানিক দল বহুতল কার পার্কিং এলাকায় অভিযুক্তদের সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। এসময় ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং এনএসআই’র সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। এপিবিএন ও এনএসআই’র সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।জিয়াউল হক জানান, বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের সামনে ফারুকের প্যান্টের ডান ও বাম পকেট থেকে সাদা টিস্যু দিয়ে মোড়ানো সোনার চেইন ৬ পিচ, চুড়ি ৯ পিস, হার ২ পিসসহ মোট ৭৯৬ গ্রাম সোনার অলংকার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪ হাজার ৮শ টাকা। আর তার স্ত্রী রাণী আক্তারের হাতে থাকা একটি লেডিস ব্যাগের ভেতর থেকে সাদা টিস্যু দিয়ে মোড়ানো সোনার চুড়ি ৬০ পিস, সোনার আংটি ৯ পিস, কানের দুল ৫ পিস, ব্যাসলেট ১ পিস, গলার হার ৫ পিস, লকেট ৪ পিস ও ৩ পিস চেইন পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ৮০১ গ্রাম। আর বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৮শ টাকা। গ্রেপ্তারদের সোনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালান করে আসছিলেন এবং সোনা চোরাচালান দলের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া সোনাগুলো তারা এমদাদ নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন। এছাড়া সোনাগুলো একজন সৌদি প্রবাসী সোলাইমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন। এরপর এই স্বর্ণগুলো এমদাদের কাছে আসে, আর এমদাদ গ্রেপ্তারদের কাছে দিয়েছেন। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।